, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


আদানি গ্রুপের আম্বুজা সিমেন্ট কিনে নিল সাংঘি ইন্ডাস্ট্রিজকে

  • আপলোড সময় : ০৪-০৮-২০২৩ ১১:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৮-২০২৩ ১১:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
আদানি গ্রুপের আম্বুজা সিমেন্ট কিনে নিল সাংঘি ইন্ডাস্ট্রিজকে
আদানি গ্রুপের সিমেন্ট এবং বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল কোম্পানি আম্বুজা সিমেন্ট লিমিটেড (এসিএল) ভারতের আরেক সিমেন্ট কোম্পানি সাংঘি ইন্ডাস্ট্রিস (এসআইএল) লিমিটেড এর সিংহভাগ মালিকানা কিনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ৬৭ কোটি ডলারের বিনিময়ে আম্বুজা এসআইএল এর ৫৬.৭% শেয়ার কিনে নিয়েছে। এর মোট এন্টারপ্রাইজ ভ্যালু দাঁড়াচ্ছে ৬১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

গুজরাটের কুচ জেলায় সাংঘি ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড এর ইনটিগ্রেটেড ম্যানুফেকচারিং ইউনিট অবস্থিত। এটি ভারতের সর্ববৃহৎ সিংগেল-লোকেশন সিমেন্ট এবং ক্লিংকার ইউনিট হিসেবে পরিচিত। ২,৭০০ হেক্টর জমি জুড়ে বিস্তৃত এ ইউনিটে রয়েছে ১৩০ মেগাওয়াটের একটি ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং ১৩ মেগাওয়াটসম্পন্ন একটি ওয়েস্ট রিকভারি সিস্টেম। এসিএল দ্বারা সাংঘির এই মালিকানা গ্রহণের ফলে কোম্পানিটির অবস্থান আরো শক্তিশালী হয়েছে। বাজারে এর পূর্বের স্থান ধরে রাখতে এবং একইসাথে নতুন করে সিমেন্ট ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিতে এই উদ্যোগ কাজে লাগবে। 

এ বিষয়ে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি মনে করেন, “এই মালিকানা গ্রহণ আম্বুজা সিমেন্টস এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। এসআইএল এর সাথে যুক্ত হবার মাধ্যমে আম্বুজা বাজারে নিজেদের উপস্থিতি, প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও এবং নির্মাণকাজের কাঁচামাল খাতে অবস্থান আরো জোরদার করতে যাচ্ছে। ‘মেরিন’ খাতের নির্মাণ ও পরিচালনায় আদানি গ্রুপের বিশেষ দক্ষতা আছে। এ দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সাংঘিপুরাম এর বন্দরটিতে ৮,০০০ ডিডব্লিউটি (ডেডওয়েট টনেজ) পর্যন্ত ব্যবস্থাপনার সুযোগ থাকবে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে আদানি গ্রুপ ২০২৮ সাল নাগাদ এর ১৪০ এমটিপিএ সিমেন্ট উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে। অন্যদিকে দুই বছরে সাংঘিপুরামে এসিএল এর উৎপাদন ক্ষমতাও বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে ১৫ এমটিপিএ-তে।”

এ প্রকল্প নিয়ে আদানি গ্রুপের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, ভারতে ক্লিংকার এর সবচাইতে সাশ্রয়ী উৎপাদনকারী হিসেবে এসআইএলকে প্রতিষ্ঠিত করা।

উল্লেখ্য গুজরাটের নাভলাখি বন্দর ও মহারাষ্ট্রের ধারামতার বন্দরেও এসআইএল এর একটি বাল্ক সিমেন্ট টার্মিনাল রয়েছে। এতে উৎপাদিত বেশিরভাগ সিমেন্টই সমুদ্রপথে আনা-নেওয়া করা হয়, যা একইসাথে পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী।
সর্বশেষ সংবাদ